1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

আবারও নুর-রাশেদের ছাত্র অধিকার পরিষদে ফের ভাঙন

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১, ৪.২৩ পিএম
  • ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে `সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।

এর পাল্টায় নূরের ওই ঘোষণাকে ‘চরম অসাংগঠনিক কার্যকলাপ’ আখ্যায়িত করে তাকে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন।

পাল্টাপাল্টি এমন ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কার্যত নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়ল তিন বছর আগে সরকারি চাকরির কোটা সংরক্ষণের বিরোধিতায় গড়ে ওঠা এ সংগঠন।

নুরুল হক নূর নিজেকে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ দাবি করে শনিবার মধ্যরাতে ফেইসবুকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন।

সেখানে বলা হয়, গত ২ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ সভায় কমিটি বিলুপ্তি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে’ কমিটি গঠন করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এরপর পাল্টা এক বিজ্ঞপ্তিতে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, “যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নুরুল হক নূরের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার এখতিয়ার নেই। ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ পদবি ব্যবহার করায় নুরের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।”

রাশেদ বলেন, ২ জুলাইয়ের সেই যৌথ সভায় তিনি নিজে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ‘অনেকে’ উপস্থিত ছিলেন না।

“বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানাতে চাই, এমন যৌথ আলোচনা সভায় যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মশিউর রহমান, মো. সোহরাব হোসেন, মাহফুজুর রহমান খান, তারিকুল ইসলাম এবং সদস্য আরিফুল ইসলাম সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের অনুপস্থিতিতে খোদ কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার এখতিয়ার কারো নেই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন নেতার সাংগঠনিক শৃঙ্খভঙ্গের কারণে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া গত তিন বছর ধরে এই কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব বাছাই করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

“আমরা এখন আর ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই। মোদীবিরোধী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি আন্দোলন ও বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমি ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছি। তারা আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছে।”

রাশেদসহ অন্যরা কীভাবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন জানতে চাইলে নুর বলেন, “ফেইসবুক মেসেঞ্জারে একটি চ্যাট গ্রুপে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা, বিশেষ করে আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন কিছু স্পর্শকাতর কথা বলেছে। যেখানে দলে ভাঙন সৃষ্টি ও পারস্পারিক দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। সেগুলো আবার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

যৌথসভায় কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতার অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে নুর বলেন, “আহ্বায়ক ছিল না, ঠিক আছে। কিন্তু অধিকাংশ নেতাই ছিল। আর রাজনৈতিক সংগঠনের সভায় সব নেতা থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। মেজরিটি যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই চূড়ান্ত।”

সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমরা মনে করছি, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর চ্যাটিংয়ের জন্য কমিটি বিলুপ্ত করা সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। আমরা আমাদের সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাব। নুরের কথায় বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করছি।”

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!