1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

সুনামগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ আমার কাছে এক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ৯.৫৫ এএম
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি ::
ভিডিও কনফারেন্সে দেশের সাতটি জেলা ও ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার জন্মজেলা গোপালগঞ্জ ও হাওর জেলা সুনামগঞ্জ আমার কাছে সমান। আমি হাওরবাসীর উন্নয়নে আছি, থাকব। হাওরের যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। পরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাউল স¤্রাট শাহ আবদুল করিম রচিত একটি গান শুনেন বাউলপুত্র শাহ নূর জালালের কণ্ঠে। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে ছাতক জেলাকেও শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। এসময় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সুধীজন করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন সিক্ত করেন।
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুনামগঞ্জের প্রসঙ্গ আসার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনামগঞ্জবাসীর জন্য নেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ও সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের জন্য জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। জেলা প্রশাসক ভিডিও কনফারেন্স প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৭ সালে হাওরের সম্পূর্ণ ফসলহানির কারণে অসহায় হয়ে পড়েন জেলার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। হাওরবাসীর এই দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী মমতাসিক্ত হাতে তখন পাশে দাঁড়ান। প্রায় ২ লাখ কৃষক পরিবারকে পরবর্তী ফসল না ওঠা পর্যন্ত প্রতি মাসে চাল ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ১০টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সুযোগ করে দেন। এতে খুশি হন হাওরবাসী। জেলাবাসীর জন্য এই জরুরি সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ ঘটনা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
এদিকে অনুষ্ঠানে বাউল আছেন জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের বাউলদের গান শুনতে চান। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূরজালাল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা শাহ আবদুল করিমের গান ‘শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু সবাই কয়, বন্ধু ছিলেন সত্য বটে, আসলে শত্রু নয়।…এনে ছিলেন স্বাধীনতা, তাইতো বলে জাতির পিতা, সাক্ষী দিছে দেশ-জনতা, এই কথা মিথ্যা নয়। শেখ মুজিব জাতির পিতা, করিম বলে নেই সংশয়…।’ এই গানটি তন্ময় হয়ে শুনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গান শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কালজয়ী গান সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎবিভাগের যুগ্ম সচিব নাজমুস সাদাত সেলিম, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল আমিন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ছাতক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর ইমন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সুধীজন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪০টি জেলা এবং ছাতকসহ ৪১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি জেলাগুলোতে মুজিববর্ষেই আলো জ্বালানোর কাজ চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান যুগটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে এটা কখনো হতে পারে না। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে শিক্ষিত করতে চাই যেন প্রতিযোগিতাময় এ বিশ্বের সঙ্গে তারা তালমিলিয়ে চলতে পারে। সেজন্য প্রযুক্তি শিক্ষাটা একান্তভাবে প্রয়োজন।
তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সম্প্রসারণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর একটা জাতিগোষ্ঠী গড়ে তুলতে চাই। নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি আগ্রহী হয় সেদিকে নজর রেখে আমার ক¤িপউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমসহ বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি।
অনলাইনে ঘরে বসে অর্থ উপাজর্নের সুযোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। একেবারে গ্রামে বসে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করেছি, এ সুযোগ আরো সম্প্রসারণ করতে সরকার কাজ করছে।
‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ এর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে ট্রেনিং নেবে, এর ফলে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে, তারা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, উদ্যোক্তা হতে হবে। চাকরি না করে চাকরি দেবো এই চিন্তাটা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ নিজ নিজ বিভাগের উন্নয়ন তুলে ধরে তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!