হাওর ডেস্ক ::
তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে না বাড়তেই আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বুধবার বলেন, “চলমান শৈত্যপ্রবাহের সাময়িক উন্নতি হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে তা কেটে যেতে না যেতেই ১০ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা ফের কমতে থাকবে। এসময় উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।”
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা বৃহস্পতিবার কমে আসতে পারে।সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়বে।
আরিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে, এরপর তাপমাত্রা আবার কমবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে সুর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। এর প্রভাবে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।
বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুম ধরা হয়। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলা পঞ্জিকার মাঘ মাসের শুরুতে বরাবরই শীতের তীব্রতা বাড়ে।
এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ মৌসুমে এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর নতুন বছরের শুরুতে মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মাসের শেষ সপ্তাহে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সেটি হবে এ মাসের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।