সাইফ উল্লাহ::
সুনামগঞ্জজের ধর্মপাশা উপজেলার মোকশোদপুর জলমহালে জোররপৃর্বক মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সেলবরষ গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমির ছেলে মোফাজ্জল চৌধুরী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ‘মোকশোদপুর দিঘর’ নামক জলমহালটি স্বারক নং ৩১.৬০.৯০৩২.০০১.০৮.০০১১২.১৯-৬০৫(৪) মোকশোদপুর মৌজা নং ১ খতিয়ানের ৬০.৪৭.৫৭ নং বিল ওখাল ৯.৫৪ একর জলাভূমি চলতি ১৪২৬ বাংলা সনের পৌষ মাস থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত চার মাসের জন্য উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ থেকে সাব্যস্ত করে খাস কালেশনে ওই জলমহালের তীরবর্তী সেলবরষ গ্রামের মোফাজ্জল চৌধুরীর নিকট ইজারায় পত্তন দেওয়া হয় এবং উক্ত কমিটির পক্ষ থেকে জলমহালটির দখলও তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মোফাজ্জল চৌধুরী ওই জলমহালটি ইজারা নেওয়ার পর থেকেই পাশের শ্বরস্বতীপুর গ্রামের আবুল কালামসহ তার লোকজন জলমহালটি লুট করে নিয়ে যাবে বলে নূরুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় বুধবার সকালে সন্ত্রাসী আবুল কালামের নেতৃত্বে আলী রাজ, মহিবুর শফিকুল, গোলাম মৌলা উকিল, ছানু মিয়া, শহর আলী সহ প্রায় শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জলমহালের (খলা) ঘরে গিয়ে হামলা চালিয়ে সব কিছু ভেঙে তছনচ করে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা (খলা) ঘরের বাঁশ, কাঠ, টিন, মাছ ধরার সরঞ্জামাদি সহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।