বিশেষ প্রতিনিধি::
জননেতা আব্দুজ জহুর আমৃত্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির প্রকৃত একজন ঈমানদার হিসেবে তিনি সততার সঙ্গে জনকল্যাণের রাজনীতি করে অমর হয়ে আছেন। লোভ ও প্রলোভনে পড়ে তিনি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। দলবদল করে সুবিদা নেননি। সংসদ সদস্যের ভাতা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ব্যয় নির্বাহ করেছেন। সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিক আব্দুজ জহুরকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থ কিছুটা হলেও নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের প্রেরণা দিবে। বক্তারা আবদুজ জহুরের মতো সুনামগঞ্জের নির্লোভ রাজনীতিবিদদেরকে নিয়েও স্মারকগ্রন্থ প্রকাশে লেখক সাহিত্যিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পসাহিত্যের সংগঠন বিরাঙ আয়োজিত ও নাগরী প্রকাশিত রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু-সাংবাদিক শামস শামীম সম্পাদিত আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্টানে বক্তারা এসব কথা বলেন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কবি ইকবাল কাগজীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমান।
বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, রমেন্দ্র কুমার তালুকদার অনু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোড়ক উন্মেচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আব্দুজ জহুর সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন বলেই তাকে মূল্যায়ণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জননেতা আব্দুজ জহুরকে স্মরণ করে সুরমা নদীতে নির্মিত সেতুর নাম তার নামে নামকরণ করেছেন। বক্তারা আরো বলেন, জননেতা আব্দুজ জহুর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। এ কারণে ৭৫ পরবর্তী সময়ে তাকে জেল কারাবরণ ও নির্যাতিত হতে হয়েছে। রাজনৈতিক আদর্শ ছিল তার অলঙ্কার। আব্দুজ জহুর শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে জীবন শুরু করে প্রথম যৌবন থেকেই প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করেছেন। আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তৃনমূলে আওয়ামী লীগকে বিস্তৃত করে গেছেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের আব্দুজ জহুরের সততা, ত্যাগের রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানান।