স্টাফ রিপোর্টার::
বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা শহরসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বরং লাঞ্চিত হন পুলিশের হাতে। আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি না মানলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়া ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছিল। শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে বাধা দেয় পুলিশ।
সুনামগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা দাবি আদায়ের পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখে কাপড় বেধে পাঠদান কর্মসূচি পালন করেন। কালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও শহরের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপজেলা সদরের বিভিন্ন বিদ্যালয়েও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া ছাতকসহ প্রতিটি উপজেলায়ই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষ সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব মিঠু জানিয়েছেন।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন না করে কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের সাথে প্রহসনমূলক আচরণ করছেন। বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে শিক্ষকরা আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষকরা আরও জানান, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসলে তৎকালীণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১ মাসের মধ্যে শিক্ষকদের দাবি বাস্তাবয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে আশ্বাসে শিক্ষকরা আমরণ অনশন স্থগিত করেন। কিন্তু ২ বছর পার হলেও শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন হয়নি।