ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে টিটু মিয়া (২৭) নামে এক বখাটে।
গুরুতর আহত ওই স্কুলছাত্রীটিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সরিশ্যাম গ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বখাটে টিটু মিয়া উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের শরিশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হকের ছেলে।
এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ বখাটে টিটুকে গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অভিযুক্ত ওই বখাটে ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত প্রায় দুই বছর ধরে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই ছাত্রীটিকে বখাটে টিটু স্কুলে যাওয়ার আসার পথে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করাসহ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। টিটু ওই ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে ছাত্রীটি প্রায় প্রতিদিনই তার পরিবারের কাছে তা জানিয়ে আসছিল। আর তার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে বখাটে টিটুর বাবা শামসুল ইসলামের কাছে একাধিকবার নালিশ জানালেও টিটুকে এ পথ থেকে আটকাতে পারেনি তার পরিবার। পরে টিটু তার পরিবারের লোকজনকে দিয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এতে করে বখাটে টিটু ছাত্রীর ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয় উঠে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রীটি এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সাথে বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ছাত্রীটি শরিশ্যাম গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে টিটু আকস্মিকভাবে ওই ছাত্রীকে আটকিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে টিটু সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে পড়াশোনা করছে এবং তার বিয়ের বয়স হয়নি। তাই মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজী হয়নি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না এলে টিটু আমার মেয়েকে মেরে ফেলতো।’
ধর্মপাশা থানার এসআই আব্দুল আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রী ও ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। অভিযুক্ত টিটুকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’