হাওর ডেস্ক ::
আজ সোমবার মহানবমী। আগামীকাল মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণ আর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সপ্তমী তিথির ঊষালগ্নে নবপত্রিকা সন্ধান শেষে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণসঞ্চার করা হয়েছে দেবীর মৃন্ময়ীতে।
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে পূজার প্রস্তুতি চলে মন্দিরে মন্দিরে। এর আগে অষ্টমীর ভোরে ঘট স্থাপনের মাধ্যমে পূজা অর্চনা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপে বাড়তে থাকে ভক্তদের ভিড়। কুমারী পূজা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়।
এবারের কৃষ্ণমঠের দেবীরূপে কুমারী বসেন প্রশংসা প্রিয়তা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ বছর বয়সী এই কুমারী মেয়েকে দেবীর আসনে বসিয়ে শুদ্ধ নারী কল্পনা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবীরূপে পূজা করেন। প্রিয়তা পুরান ঢাকার লক্ষ্মীপুরের শিক্ষক দম্পতি পরানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও গায়েত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান। তার জন্ম ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল। সে রাজধানীর চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের শিক্ষার্থী।
প্রিয়তার বাবা পরানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলতাম আমার সন্তানদের দেখতে চাই দেবীরূপে। প্রিয়তা আজ দেবীর আসনে বসেছে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের আমার বড় মেয়েও দেবীর আসনে বসেছিল।’
রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিত শ্রীরামকৃষ্ণ মহাধিরাজ বলেন, ‘দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পূজার বিধান রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে। বয়স ভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন।’
তিনি আরও বলেন, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মাঠে নয় কুমারীকে পূজা করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে মহা ধুমধাম করে এই পূজার প্রথা চলে আসছ। তবে সপ্তমী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত যে কোনো এক দিন এই পূজা পালন করা যায়। নির্দিষ্ট কোনো বাঁধাধরা দিন না থাকলেও অষ্টমীর দিনেই সব জায়গায় এ পূজা বেশি প্রচলিত।’