স্টাফ রিপোর্টার::
সরকারি কোন নির্দেশনা বা আইনী প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও সুনামগঞ্জ সিলেট-সড়কে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বুধবার বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দিয়েছে। বুধবার চারটি ট্রিপ দেবার পর মালিক-শ্রমিকরা জোরপূর্বক বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে এসে তাদের নিজেদের গাড়ি ফেলে রাখায় আর ট্রিপ দিতে পারেনি বিআরটিসি বাস। মালিক-শ্রমিকরা কাউন্টারে এসেও হুমকি দিয়ে গেছে। এসময় পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব ছিল।
জানা গেছে গত ২২ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সুনামগঞ্জ-সিলেটের যাত্রী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ সুধীজন ও জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে তিনটি শর্তের ভিত্তিতে বিআরটিসি বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে বিআরটিসি বাস চলাচল, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে সময়ের সমন্বয় এবং ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হয়। এসময় ৬টি বাস চালু হয়েছিল। গত মাসে হঠাৎ করে দুটি বাস বন্ধের একতরফা সিদ্ধান্ত হলে যাত্রীরা আবারও আন্দোলনে নেমে পড়েন। কয়েকদিন আগে আরটিসির মিটিংয়ে দিনে ৬ট্রিপ করে দেবার একতরফা সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা একতরফা মাত্র চারটি ট্রিপের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুনামগঞ্জ ও সিলেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদী কর্মসূচিও পালিত হয়। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের যাত্রী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে বিআরটিসি বাস বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসেন। এর মধ্যেই অনৈতিকভাবে জোরপূর্বক বিআরটিসি বাস বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্দ হয়েছেন যাত্রীরা। তারা পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতা ওবায়দুর রহমান কুবাদ বলেন, বুধবার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা কাউন্টারে গিয়ে বিআরটিসি বাস না চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের হুমকি ধমকি দিয়ে এসেছে। চার ট্রিপ দেবার পর তারা কাউন্টারের সামনে নিজেদের বাস এনে জায়গা ব্লক করে দেয়। ফলে আর কোন ট্রিপ দিতে পারেনি।
সুনামগঞ্জ পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিআরটিসির প্রতিনিধি শুয়াইব শুভ বলেন, চারটি ট্রিপ দেবার পর পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আমাদের কাউন্টারের সামনে তাদের বাস ফেলে রেখে ট্রিপ না দিতে হুমকি দিয়ে যায়। যার ফলে আমরা আর কোন ট্রিপ দিতে পারিনি। তিনি বলেন, আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাইলেও তারা আসেনি।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।