হাওর ডেস্ক ::
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ সময় আলোচনা চালানোর পরও রোহিঙ্গারা ফিরতে আগ্রহী না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেছেন,“আমাদের দিক থেকে তো আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকায় থাকা ১০৩৭টি পরিবারের মোট ৩৫৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেলা ১টা পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হননি।”
বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ স্বেচ্ছায় রাজি হলে তাকে ফেরত পাঠাতে আমরা প্রস্তুত। ওই সময়ের আগে আমরা বলতে পারব না যে আজ প্রত্যাবাসন হচ্ছে না।”
এবারও যদি প্রত্যাবাসন শুরু করা না যায়, তাহলে দুই বছর ধরে চলা এ সঙ্কট সমাধানের দ্বিতীয় দফা চেষ্টাও ব্যর্থতায় পরিণত হবে।
এর আগে গতবছর ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন শুরুর সব প্রস্তুতি নিয়ে দিনভর অপেক্ষা করার পরও মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা তৈরি না হওয়ায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন হাল ছাড়তে রাজি নন। দুপুরে ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি। সমস্যা মিয়ানমারের, সমাধানও তাদেরই করতে হবে। আমরা জোর করে কিছু করব না।”
নিজেদের দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছি আজ থেকে প্রক্রিয়াটা শুরু হোক। এরপরও আমরা প্রক্রিয়াটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।”