তাহিরপুর প্রতিনিধি :
তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৫নং বাদাঘাট উত্তর ইউপির সুন্দরপাহাড়ী গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সুন্দরপাহাড়ী গ্রামের মৃত তমিজ আলীর ছেলে আ. হাইয়ের ডোবায় জোড় পূর্বক মাছ ধরতে যায় একই গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে আ. জলিল ও কালাম। এসময় আ. হাইয়ের ছেলে কাজল ও তার চাচাতো ভাই হোসাইন তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করলে শুরু হয় বাকতিন্ডা। বাকবিতন্ডা শেষে জলিল ও কালাম বাড়ী চলে যায়। বাড়ি গিয়ে কাচা মিয়াকে ঘটনা শুনালে কাচা মিয়াসহ তার আত্মীয় স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আ. হাইয়ের ডোবায় এসে কাজল ও হোসাইনের উপর উপর হামলা করে।
এসময় প্রতিবেশীরা তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে কাজল ও নজির কাচা মিয়ার বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে তাদের উপর কাচা মিয়াসহ ৬জন তাদের উপর আবার হামলা করে। এঘটনার পর কাচা মিয়ার ছেলে কালাম আ. হাইয়ের বাড়ীর পাশ দিয়ে আসার সময় আ. হাইয়ের ছেলে কাজল কালামের উপর হামলা করে।
এঘটনা জানাজানি হলে কাচা মিয়াসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আ. হাইয়ের বাড়িতে এসে এলোপাতারি হামলা চালায়। হামলার ফলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আ. হেলিম (৩৫) আ. হাই (৪৫), তার ছেলে আ. রহিম (২৬), মাসুক মিয়া (২৪), নয়ন মিয়া (২১), কাজল মিয়া (২০), উজ্জল মিয়া (১৭), মধু মিয়ার ছেলে নজির মিয়া (১৫)।
কাচা মিয়া পক্ষের তার ছেলে আ. জলিল (৩০), জালাল উদ্দিন (২০), আ. খালেকের স্ত্রী শাহেরা বেগম (৫০) ছেলে নুরবুল (৩৫), শহিদ মিয়া (৩০), শাহিন মিয়া (২০) প্রমুখ আহত হয়।
আহতদেরকে প্রথমে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারে ডা. আল আমিন কবিরের চেম্বারে চিকিৎসা দিয়ে পরে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আ. হাই, মাসুক, হেলিম, নুরবুল, আ. জলিলেরম অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মণ। অন্যান্য আহততের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।