1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

লন্ডন থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেওয়া জগন্নাথপুরের বংশোদ্ভুত শামীমার মামলা সুপ্রীম কোর্টে যাচ্ছে

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০, ১.১২ পিএম
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো সিলেটি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগমের যুক্তরাজ্যে ফেরার মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। নাগরিকত্ব পেতে আইনি লড়াইয়ের জন্য ‘শামিমাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া উচিত’ বলে এর আগে আপিল আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার আপিল করার পর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে।
আপিল আদালত এ মামলা জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে কেবল সুপ্রিম কোর্টই এর নিষ্পত্তি করতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে মামলা সুপ্রিম কোর্টে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে ব্রিটিশ সরকার। গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) এজন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তবে শুনানি কখন হবে তা মন্ত্রণালয় জানায়নি।
লন্ডনের আপিল আদালত গত ১৬ জুলাই শামিমার যুক্তরাজ্যে ফেরার পক্ষে রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল, শামিমাকে সুষ্ঠু শুনানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, কারণ যুক্তরাজ্যে ফিরতে না দিলে সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে এই আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এর রায়ে হাতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চাইবে। সে চেষ্টায় সরকার সফল হয়েছে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আরও দুই ব্রিটিশ কিশোরীর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন শামিমা। সিরিয়ায় আইএস উৎখাত অভিযানে আশ্রয় হারিয়ে তার ঠাঁই হয় শরণার্থী শিবিরে। সেখানে তার একটি সন্তানও হয়।
২০১৯ সালে শরণার্থী শিবিরে তার খোঁজ মেলার পর তিনি দেশে ফিরতে চাইলে সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এরপর শামিমা বেগম তার আইনজীবীর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তার যুক্তি ছিল, ব্রিটিশ সরকার ‘অবৈধভাবে’ তাকে রাষ্ট্রহীন করেছে এবং তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
জুলাইয়ে ওই আবেদনের রায়েই লন্ডনের আপিল আদালত বলেছিল, “শামিমাকে সুষ্ঠু এবং কার্যকরভাবে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে দেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া।”

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!